ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের সময় ও ইনিংস শেষেও এই প্রশ্নটি ছিল। আদিল রাশিদ যথারীতি দারুণ বোলিং করেছেন। বিশেষজ্ঞ স্পিনার না হলেও পুরো চার ওভার আঁটসাঁট বোলিং করেছেন লিয়াম লিভিংস্টোন। কিন্তু মইনকে বোলিংয়ে দেখা যায়নি।
এমনিতে এবারের বিশ্বকাপে মইনকে নিয়মিত বোলিংয়ে সেভাবে কাজে লাগাননি বাটলার, কিংবা প্রয়োজন পড়েনি। তবে এই ম্যাচের প্রেক্ষাপটে এটা বিস্ময়করই ছিল। শুরুর কয়েক ওভারের পরই বোঝা গেছে, উইকেট বেশ মন্থর, বল ব্যাটে এসেছে থমকে। ভারতীয় ইনিংসের শেষ ১০ ওভারে বেশ কিছু বল বিপজ্জনকভাবে নিচু হয়েছে। লিভিংস্টোনকে খেলতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের।
সেখানে দুই স্পিনারের বেশি কাজে লাগাননি বাটলার। রাশিদ চার ওভারে দিয়েছেন ২৫ রান, লিভিংস্টোন ২৪ রান। বাকি ১২ ওভার পেসারদের দিয়েই করিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক। শেষ দিকে বেশ খরুচে ছিলেন পেসার ক্রিস জর্ডান। সেখানেই বড় ব্যবধান গড়া হয়ে যায়। অথচ রাভিন্দ্রা জাদেজা, আকসার প্যাটেলদের মতো বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের সামনে মইনকে কাজে লাগানো যেত।
ম্যাচ শেষে বাটলার নিজেই সেই ভুল নিয়ে আক্ষেপ করলেন কিছুটা।
“অবশ্যই দারুণ কিছু স্পিনার তাদের আছে। আমাদের দুই স্পিনারও ভালো বল করেছে। তবে, এখন পেছন ফিরে তাকিয়ে মনে হচ্ছে, স্পিন যেভাবে কার্যকর হয়েছে, মইনকে বোলিংয়ে আনা উচিত ছিল আমার।”