মুরগি, আদা ও রসুনের দাম কিছুটা কমলেও রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দর একশ টাকা ছুঁয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সবজির দাম।
কদিন পর পর কোনো না কোনো পণ্যের দরে উত্থানের প্রবণতায় পেঁয়াজ ও আলু এই মুহূর্তে আলোচনার বিষয়।
গত বছর অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির পর চলতি বছরও থামছে না পণ্য দুটির দর বৃদ্ধির প্রবণতা।
গত বছর এই সময়ে আলুর দর ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হয়ে যাওয়ার পর আমদানির অনুমতি নিয়ে বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে নানা আলোচনা পর্যালোচনা হয়েছে, কী কী করা যায়, তা নিয়ে নানামুখি উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল।
সেই আলুর খুচরা দর এখন ৫৮ থেকে ৬০, কোথাও কোথাও ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, কিন্তু এ নিয়ে কোনো উদ্যোগই চোখে পড়ছে না।
গত বছর এমন সময় দেশি পেঁয়াজের দর ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজের দর ছিল ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা। সেই পেঁয়াজ ঈদের আগেই উঠে গিয়েছিল ৯০ টাকা। ঈদের পর দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই সেখান থেকে বাড়ল আরও ১০ টাকা।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়া রেললাইন সংলগ্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।
খুচরা বিক্রেতারা বলেছেন, ঈদে পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছিল। ছুটি ও বৃষ্টির কারণে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় দাম নতুন করে বেড়েছে।
তেজকুনিপাড়ায় বাজারে পেঁয়াজের দাম শুনে বিস্মিত হয়েছেন রহিমা খাতুন। তিনি বলেন, “ঈদের আগে আগে যখন বাড়তেছিল, তখন ভাবছি মাংসের সঙ্গে অতি দরকারি পণ্য, চাহিদা বেশি তাই দাম বাড়তেছে। কিন্তু ঈদ শেষ। এখন ঈদের চেয়েও বেশি দাম বাড়বে এটা কীভাবে সম্ভব?”
কারওয়ান বাজারে খুচরায় ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি আর পাবনার পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতা আব্দুল জব্বার বলেন, “এখন পেঁয়াজের দাম একটু চড়া। ভারতীয় যে পেঁয়াজ কয়েক জায়গায় পাইবেন, সেটাই ১০০ টাকা কেজি। তাইলে দেশি পেঁয়াজের দাম কমব কেমনে?”
কারওয়ান বাজারে পাইকারি দোকান মেসার্স মাতৃভান্ডারে পাবনার পেঁয়াজ ৮৫ ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৮২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।