পরাশক্তি হিসাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে নিজের অবস্থান ধরে রাখাতে নিজেদের প্রথম সুপারকম্পিউটার তৈরির টেন্ডার প্রকাশ করছে ইসরায়েল।
বুধবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘ইসরায়েল ইনোভেশন অথরিটি’ ঘোষণা দেয়, টেন্ডারটির কার্যক্রম চালু হবে জুলাই মাস থেকে।
সংস্থাটির সিইও ড্রোর বিন এক এআই সম্মেলনে বলেন, প্রযুক্তি খাতে এতদিন এআই ইসরায়েলের বন্ধু হিসেবে কাজ করলেও এর দ্রুত বিকাশের কারণে যে কোনো দিন এটি শত্রুতেও পরিণত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এজন্য সরকারি, শিল্প ও শিক্ষাখাত সংশ্লিষ্ট এক জাতীয় এআই প্রকল্পের জন্য ২৫ কোটি ডলারের বাজেট বরাদ্দ করছে ইসরায়েল সরকার, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ খরচ হবে ২০২৪ সালেই। আর প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৭ সালে, যেখানে আর্থিক তহবিল বাড়ার সম্ভাবনাও আছে।
পাবলিক সেক্টরে ইসরায়েল বছরওয়ারি যতো পণ্য বা সেবা তৈরি করে, তার ২০ শতাংশই থাকে প্রযুক্তিবিষয়ক, যার ফলে দেশটি গোটা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত।
বিন বলেন, ইসরায়েলের নয় হাজার স্টার্টআপের মধ্যে দুই হাজার দুইশটিরও বেশি কোম্পানিতে এআই ব্যবহৃত হচ্ছে। আর সবচেয়ে বেশি জেনারেটিভ এআই কোম্পানি থাকা দেশের বৈশ্বিক তালিকায় ইসরায়েলের অবস্থান তৃতীয়, যেখানে এ প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানির সংখ্যা ৭৩টি।
“আমাদের লক্ষ্য হল, ইসরায়েল যেন বৈশ্বিক এআই দৈড়ে নিজের নেতৃত্ব, র্যাংকিং ও অবস্থান ধরে রাখতে পারে, তা নিশ্চিত করা,” বলেন তিনি।
তিনি আরও যোগ করেন, এক্ষেত্রে বড় বড় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো একটি সুপারকম্পিউটার থাকা খুবই জরুরী।
“কোনো হাইটেক কোম্পানি বা গবেষক একটি বড় মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে চাইলে তাদেরকে ক্লাউডে সময় কিনতে হয়। আর এখনও বিশাল পরিমাণ জিপিইউওয়ালা (গ্রাফিক প্রসেসিং ইউনিট) স্থানীয় ডেটা সেন্টারও গড়ে ওঠেনি, যা এইসব মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে পারে,” বলেন তিনি।